বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দে অনিয়ম, তহবিল থেকে অস্বচ্ছ লেনদেন, ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ নানা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।
কমিটির একজন সদস্য জানান, গত ১৪ বছরের আর্থিক হিসাবপত্র, বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন, ভাউচার ও ব্যয়ের প্রমাণপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিদ্যালয়ের এড হক কমিটির সভাপতি এইচ এম সোহাগ বলেন, “আমাকে এক সময় প্রধান শিক্ষকের মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি আমাকে পুনর্বহালের খবর পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তবে চলমান তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “একটি মহল ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে। অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।”
এলাকাবাসী নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।