বরিশালের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কালীগঞ্জ সড়কের দারুল উলুম মাদ্রাসায় এক শিক্ষক কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের রুমে তালাবদ্ধ রেখে অমানবিক আচরণের ঘটনাও পূর্বে ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক হাফেজ হাফিজুল ইসলাম এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেছেন বলে জানা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওই শিক্ষককে ‘ছুটিতে পাঠানোর’ ব্যবস্থা নেয়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এটি মূলত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল মাত্র।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি গোপনে মীমাংসা করার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকায় রফাদফা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও দালালের মাধ্যমে এই সমঝোতা সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার ও স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা জাকারিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার শিশুর মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি দারুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর নজরদারি ও হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।