নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই কিছু নতুন মুখ এবং বিদেশফেরত নেতাদের আকস্মিক রাজনৈতিক আবির্ভাব দেখা যায় — কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছরেও এদের রাজপথে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জননেতা আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করে বাকেরগঞ্জের গণমানুষের হৃদয়ের নেতা হয়ে উঠেছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাকেরগঞ্জসহ পুরো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় রাজনীতিবিদদের দাবি, বর্তমানে বাকেরগঞ্জের সব দলের নেতাদের মধ্যেই জননেতা আবুল হোসেন খান সবচেয়ে জনপ্রিয়। এমনকি নতুন ও বিদেশফেরত নেতারাও তার এই জনপ্রিয়তাকে ভেতরে ভেতরে স্বীকার করেন এবং অনেকেই তা নিয়ে শঙ্কিত।
তারা আরও বলেন, “আপনি (আবুল হোসেন খান) দক্ষিণ জেলা বিএনপির সর্বোচ্চ দায়িত্বে আছেন, জানি আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত, কিন্তু আপনার অনুপস্থিতিতে বাকেরগঞ্জ বিএনপি এক ধরনের নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। আপনার দীর্ঘ ত্রিশ বছরের পরিশ্রমে গড়ে তোলা সংগঠন আজ আপনার দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত। কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
৫ আগস্টের ঘটনাবলির প্রসঙ্গ টেনে স্থানীয়রা জানান, “যখন সারা বাংলাদেশ অরাজকতায় পরিণত হয়েছিল, তখন বাকেরগঞ্জ ছিল সম্পূর্ণ শান্ত। এটি সম্ভব হয়েছিল আবুল হোসেন খানের বলিষ্ঠ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে।
বাকেরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আবুল হোসেন খানের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তাদের ভাষায়, “কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করলেও আমরা চুপ করে বসে থাকব না। বাকেরগঞ্জের জনগণ ও নেতাকর্মীরা সবসময় জননেতা আবুল হোসেন খানের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।