Barishaler Times

Header
collapse
...
Home / ভোলা জেলা / বরিশাল / ভোলা সদর / চরফ্যাশনে ডা. আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

চরফ্যাশনে ডা. আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

2025-10-07  নিজস্ব প্রতিনিধি  258 views

ভোলার চরফ্যাশনে বেসরকারি ইকরা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ডা. আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ২০২৪ সালে একই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার করিমজান মহিলা মাদ্রাসা রোডে অবস্থিত ইকরা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

পরিবারের অভিযোগ

নিহত নবজাতকের পিতা ও চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়া জানান,
“সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী তাছলিমা বেগমকে চরফ্যাশনের মেঘনা ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. আঁখি আক্তার নিজ মালিকানাধীন ইকরা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে ভর্তি করা হয়।”

তিনি আরও বলেন,
“ভর্তি করার পর ডাক্তার আঁখি আর আসেননি। একজন নার্স ও আয়াকে দিয়ে পুরো ডেলিভারি করানো হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়, কিন্তু দেড় ঘণ্টা পরও কোনো খবর দেওয়া হয়নি। পরে জানানো হয়, বাচ্চা মৃত জন্মেছে। নবজাতকের শরীরে আঘাতের চিহ্নও ছিল।

বাবুল মিয়ার অভিযোগ,
“ডাক্তার যদি আগে জানাতেন নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়, তাহলে আমি সিজার করাতাম বা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। তাঁর অবহেলায় আমাদের সন্তান মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।”

পূর্বের ঘটনাগুলো

তদন্তে জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চরফ্যাশন হাসপাতাল রোডের সেন্ট্রাল ইউনাইটেড হাসপাতাল নামে আরেক প্রাইভেট ক্লিনিকে একই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মুন্নী আক্তারের মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তীতে আবার ইকরা হাসপাতালে যোগ দেন এবং পুনরায় চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।

এর আগেও, ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর একই ইকরা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় দুই নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল, যা সে সময় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

স্থানীয়দের ক্ষোভ

চরফ্যাশনের স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করেছেন, ডা. আঁখি আক্তারের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তাদের ভাষায়,
“তিনি চেম্বারে বসে টিকটক ভিডিও করেন, রোগীদের সময় দেন না। তাঁর অবহেলায় একের পর এক মৃত্যু ঘটছে, অথচ প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই।

ব্যবস্থার দাবি

স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ডা. আঁখি আক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


Share: