অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে জনস্বাস্থ্য বরিশাল সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিস্থ জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আঃ আজিজ খানের ছেলে ভুক্তভোগী খান মাইনউদ্দিন এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশাল সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল ইসলাম, নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের এসএই রূপকুমার সাহা, নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের মেকানিক শামিম হোসেন ও তার স্ত্রী সাদিয়া হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নলছিটিস্থ জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আঃ আজিজ খানের ছেলে ভুক্তভোগী খান মাইনউদ্দিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ে একটি সাবমারসিবল পাম্পসহ নলকূপ এর জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তার নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েলটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়নি। শুধুমাত্র পাইপ বসিয়েই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের এসএই রূপকুমার সাহা। তবে তিনি দায়িত্বে থেকেও কাজ সম্পন্ন করেননি। এদিকে যে পাইপগুলো বসানো হয়েছে তাও খুবই নিম্নমানের বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের মেকানিক শামিম হোসেন নিজেকে প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। উক্ত ঘুষের টাকা না দেয়ায় মেকানিক শামিম ও তার স্ত্রী সাদিয়া নলকূপ বসানোর কাজে নিম্নমানের পাইপ ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেন। এ বিষয়টি অবগত হয়ে খান মাইনউদ্দিন তাদের স্বামি-স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে জনস্বাস্থ্য'র বরিশাল সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস,এম শহিদুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং কোন প্রকার ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলি শহিদুল ইসলাম। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মেকানিক শামিম ও তার স্ত্রী সাদিয়া দীর্ঘ বছর একই স্থানে কর্মরত আছেন। এবং চাকরির মাত্র ৮-৯ বছরেই নলছিটির সবুজবাগ এলাকায় ৪ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কানাঘুষা চলছে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশাল সার্কেল এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।