গত রবিবার রাতে কোটালীপাড়ার আমতলী ইউনিয়নের ঊনশিয়া গ্রামের ঘোষবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঊনশিয়া গ্রামের মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষ (৪৫)-এর সঙ্গে তার আপন ভাই গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষ (৩০)-এর ছাদের পানি পড়া নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন বৃষ্টির কারণে পানি পড়া নিয়ে আনন্দ ঘোষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গৌরাঙ্গ ঘোষ, কালা ঘোষ, যুগল ঘোষ, ভাতিজা নয়ন ঘোষ ও সৌরভ ঘোষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আনন্দ ঘোষকে গুরুতর আহত করেন।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী আনন্দ ঘোষকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আনন্দ ঘোষের স্ত্রী মিতা ঘোষ বলেন, “দিনে বৃষ্টি হয়েছিল। ছাদ থেকে পানি পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে আমার দেবর ও ভাসুররা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”
আনন্দ ঘোষের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে অথৈ ঘোষ বলেন, “আমার বাবা আমাকে নার্স বানাতে চেয়েছিলেন। আমারও স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। এখন আর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। আমার কাকা ও কাকাতো ভাইরা মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, “এই ছাদের পানি পড়া নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো সালিশের সিদ্ধান্তই তারা মানেনি। শেষ পর্যন্ত সামান্য ছাদের পানি পড়া নিয়ে ভাই-ভাতিজাদের হাতে আনন্দকে জীবন দিতে হলো।”
এ বিষয়ে জানতে গৌরাঙ্গ, কালা বা যুগল ঘোষের বাড়িতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”