ইসরায়েল এখন শুধু তার ‘প্রচলিত শত্রু ও সমালোচকদের’ জন্যই নয়, বরং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘মহান বন্ধুদের’ জন্যও একপ্রকার বোঝায় পরিণত হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ, যিনি গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও বিশ্ববাসীর পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলছিলেন আল-জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে।
তেল আবিব থেকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় গোল্ডবার্গ বলেন,
কেউ হয়তো প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না, কিন্তু আমি মনে করি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত হঠাৎ নেওয়া কিছু নয়। হামাসের জবাবকে শান্তি স্থাপনের ইচ্ছা হিসেবে দেখে তিনি যে অবস্থান নিয়েছেন, তা গভীরভাবে চিন্তিত পদক্ষেপ।
গোল্ডবার্গের মতে, এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে ট্রাম্প এখন ইসরায়েল বা নেতানিয়াহুকে আর রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে দেখছেন না।
ট্রাম্পের চোখে নেতানিয়াহু এখন এক ‘লুজার’ অর্থাৎ ব্যর্থ রাজনীতিক,” বলেন তিনি।
বিশ্লেষক আরও বলেন, ইসরায়েল এই পরিস্থিতি একেবারেই আশা করেনি। “দেশটি এতদিন ধরে নিজের ‘জাতিগত নিধনমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তহীন চক্রে’ আটকে ছিল যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার বাইরেও আর কিছু স্বীকার করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছিল, যোগ করেন গোল্ডবার্গ।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করা প্রথম ফ্লোটিলা ও সাম্প্রতিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতিক্রিয়ার পার্থক্যই দেখায়—বিশ্ব এখন অনেক বেশি সমালোচনামুখর।
> “কিছুই আর আগের মতো নেই। গত দুই বছরের মধ্যে আজকের দিনেই ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি একাকী অবস্থায় পড়েছে,” বলেন তিনি।
তবে গোল্ডবার্গ মনে করেন, এই পরিস্থিতিতেও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য এক ধরণের রাজনৈতিক সুবিধা রয়েছে।